ফরিদা রানুর কবিতা নারী

ফরিদা রানুর কবিতা নারী

নারী তুমি এই জগৎ সংসারের ভীড়ে,
বিভিন্ন পরিচয় গড়েছ ছোট সুখের নীড়ে,
মা, বোন, স্ত্রী, প্রেমিকা বা অন্যকে ঘিরে-
চাওয়া পাওয়ার হিসেব গুটিয়ে নিয়েছ বেশ ধীরে।
আপন জনের সুখেই বিভোর, যে নারীর হিয়ে,
নিজেকে ভেঙে গড়ার ইচ্ছে যার রন্ধ্রে বা শিরে-
আচল পেতে শান্তি চায় বারে বারে,
মায়া আর পিছুটানে তাকায় শুধু ফিরে ফিরে।

নারী তুমি ছিলে কোন এক কিশোরী মেয়ে
আবেগে যার অশ্রু নামে দু’নয়ন বেয়ে,
ভীরু দুটি চোখে যে দেখেনা সম্মুখ চেয়ে,
শান্ত নদীতে দুপুর বেলা যে যায় নেয়ে।
ঝুমঝুম নূপুর পরে ঘুরে বেড়ায় নিটোল পায়ে,
কচি মনে হাজারো স্বপ্ন তার যায় ছেয়ে।

নারী তুমি, কোন একেলা যুবতীর কর্মক্ষমতা,
যার ডানে বায়ে শুধু খুঁজে ফিরি পেশাগত দক্ষতা।
পুরুষ সমাজ তল্লাশি করে বের করেন তার অজ্ঞতা,
তবুও কোন কোন ক্ষেত্রে মাঝে মধ্যে চায় সখ্যতা,
নারী তুমি খুব সুচারুরূপে নিজেই নিজের রক্ষা কর্তা।

শুদ্ধ মানুষ ও গুণিজন দেয় সে দেবীর পুরো দাম,
নারী তুমি অটল থেকো, অনঢ় হয়ে চেন ডান বাম;
নারী তুমি এগিয়ে যাও, রেখ সমাজ সংসারের সম্মান;
নারী তুমি সৃষ্টি কর্তা প্রদত্ত এক আশ্চর্য শক্তির নাম!

নারী
ফরিদা রানু
১১/০৩/২০২১ e.g.

নারী ফরিদা রানুর কবিতা
নারী
ফরিদা রানু (বিসিএস – পুলিশ, ৩১ব্যাচ)

♣♣♣

দেশ রুপান্তর 

https://www.deshrupantor.com/book/2020/02/17/199655/

প্রেমের ক্ষেত্রে নিয়ম ভেঙে অমর হয়েছেন লাইলি-মজনু, শীরি-ফরহাদ। ভালোবাসার মানুষটি পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেও এখনো ‘ভালোবাসি’ ‘ভালোবাসি’ বলে ওপার থেকে ডাকে। ভালোবাসার এমন অমরত্ব নিয়ে এবার একুশের বইমেলায় এসেছে ফরিদা রানুর প্রথম কবিতার বই ‘ভালোবাসা কথা কয়’।

ফরিদা রানু নৌপুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। তার বইটি প্রকাশ করেছে সময় প্রকাশন। প্রকাশক ফরিদ আহমেদ । প্রচ্ছদ এঁকেছেন ধ্রুব এষ। প্রচ্ছদ আলোকচিত্রী কামরুল হাসান মিথুন।

কবি ফরিদা রানু জানান, এর আগে ‘নৈঃশব্দের ভালোবাসা’ নামে গত বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে তার সম্পাদিত একটি নাটকের বই। প্রয়াত স্বামী মরহুম শফিকুল ইসলাম নাটকটির লেখক ছিলেন। অকাল প্রয়াত নাট্যকার ব্যক্তি জীবনে অনেক না বলা কথা রেখে গেছেন। সময়ে সময়ে তিনি কবিকে জানান দেন, তিনি এখনও তার পাশেই আছেন।

ফরিদা তার প্রয়াত স্বামীর বিদেহী আত্মার জন্য সবার কাছে দোয়া এবং ভালোবাসা কামনা করেছেন।

তিনি জানান, ‘ভালোবাসা কথা কয়’ বইটি একজন স্ত্রীর তার প্রিয়জনের প্রতি লেখা কিছু চিঠি, কিছু কথোপকথন। আমরা পাশাপাশি থেকেও অপর পাশের মানুষের ভালোবাসাগুলো অনুভব করেতে পারি না। পারি না হৃদয়ের ফ্রেমে বন্দী করে রাখতে সতেজ, শুভ্র ভালোবাসা। এই সীমিত সময়ের জীবনে কেউ কেউ হাজারো সীমাবদ্ধতার মাঝে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারে না। কেউ কেউ রেখে যায় অতৃপ্ত সমাপ্তি। বইটির মূল উপজীব্য হলো প্রস্ফূটিত হওয়ার আগেই অকালে ঝরে যাওয়া ভালোবাসা।

তিনি বলেন, প্রতিটি মানুষের জীবনে প্রেম বা ভালোবাসা আসে। প্রকৃত প্রেমিকরা কখনো ভালোবাসা হারিয়ে যেতে দেয় না। স্মৃতির পাতায়, মনের খাতায়, লেখনীতে সেই ভালোবাসাকে ধরে রাখে।

১৯৮৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি থানায় ফরিদা রানুর জন্ম। বাবা মো আব্দুর রাজ্জাক পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রকৌশলী এবং মা নিলুফা ইয়াসমিন সাধারণ গৃহিণী। তবে মেয়েদের মানুষের মতো মানুষ করাই ছিল তাদের ব্রত। বাবার চাকরির সূত্র ধরে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পড়াশোনা টাঙ্গাইলে। পরে ইংরেজি সাহিত্যে ইডেন সরকারি কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।

ফরিদা রানুর কবিতা নারী

আন্তর্জাতিক নারী দিবসঃ নারীর জন্যে চাই আয়বর্ধনমূলক প্রশিক্ষণ
আন্তর্জাতিক নারী দিবসঃ 
ফরিদা রানুর কবিতা নারী
ফরিদা রানুর কবিতা নারী

Outbound links e.g.

https://31stbcs.org/celebrating-10th-anniversary-of-31st-bcs-cadre-association/

YouTube and

https://youtu.be/ivY36OPTbQI

৩১তম বিসিএস ক্যাডার এসোসিয়েশন e.g.

৩১তম বিসিএস ক্যাডার এসোসিয়েশন 

৩১তম বিসিএস ক্যাডার এসোসিয়েশন 

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *