বন্ধুদের সঙ্গে সাঁতার কাটতে নেমে উপ-কর কমিশনার ওমর ফারুক মাসুমের নিখোঁজের পর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে তার পরিবারের পাশাপাশি সহকর্মীদের মাঝে। সহকর্মীর অকাল মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা। ৩১তম বিসিএস-এ যোগদানের পর ঢাকায় কর অঞ্চল-১৩-তে উপ-কর কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন প্রয়াত মাসুম। তার এই মৃত্যু যেন কোনোভাবে মেনে নিতে পারছেন না ৩১ বিসিএসের কর্মকর্তারা।
৩১তম বিসিএসে ট্যাক্স ক্যাডারে তিনি মেধা তালিকায় দ্বিতীয় হয়েছিলেন।
বুধবার বিকালে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের মল্লিকা দিঘী থেকে নিখোঁজের প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর এই কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ৩১তম বিসিএস ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল হাদী ও সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় দে সজল সহকর্মীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বলেন, উপ-কর কমিশনার ওমর ফারুক মাসুমের মৃত্যুতে একজন দক্ষ, কর্মঠ ও নিষ্ঠাবান সহকর্মীকে হারালাম। তিনি কর্মক্ষেত্রে সবসময় সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন। সৎ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার অকাল চলে যাওয়ায় অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।
তারা প্রয়াত কর কর্মকর্তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।

মৃত ওমর ফারুক মাসুম চাটখিল উপজেলার রাম নারায়ণপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড কালিকাপুর গ্রামের কাশেম আলী মিছাব বাড়ির আবুল ফজলের ছেলে।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওমর ফারুক মাসুম তার বন্ধু আবু দাউদ, মনিরুল ইসলাম, লিটন চন্দ্র সূত্র ধর, মোরশেদ ইকবাল, পায়েল মজুমদার ও আশরাফ হোসেন রতনসহ মল্লিকা দিঘীতে গোসল করতে নামেন। পরে তারা সাঁতার কেটে দিঘীর মাঝখানে যান। ছয় বন্ধু সাঁতরে কূলে ফিরলেও ওমর ফারুক দিঘীর মাঝখান থেকে আর ফিরতে পারেননি। খবর পেয়ে পুলিশ ও চাটখিল ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালায়। পরে বিকাল সোয়া ৫টার দিকে ফারুকের লাশ উদ্ধার হয়।
নোয়াখালী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচারক অতীশ চাকমা বলেন, বন্ধুরা তীরে ফিরলেও মাসুম ফিরতে পারেননি। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।