পদ্মা পাড়ের স্বপ্ন

জাহাঙ্গীর কবির জুয়েল (বিসিএস – কৃষি)

সেই ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ এর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ। ভীষণ ভাবে মনে পরছে যখন পদ্না সেতু জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হচ্ছে তখন ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের কথা। সেদিন যেমন বঙ্গবন্ধুর একটি তর্জনীর আহবান লাল-সবুজের জয়গান এনে দিয়েছিল। তেমনি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার অকুতোভয় সাহসী পদক্ষেপ দেশে বিদেশের নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে ঘোষণা দখিন অঞ্চল তথা সারাদেশে অর্থনৈতিক মুক্তির দিকপাল পদ্মা সেতু নিজ দেশের অর্থায়নে তৈরী  করার। হয়তো সেদিন অনেকই হেসেছিল। কেউ কেউ এতটাই নিজের দেশকে ছোট করে বলেছিল যে, জোড়াতালির পদ্মা সেতুতে নাকি উঠা যাবে না। যাইহোক এসব হয়তো তাদের অজ্ঞাতার সামিল। সেই ২০১৪ আজ ২০২২, স্বপ্ন আজ বাস্তব। খরস্রোতা পদ্মার বুকে স্বপ্ন দাঁড়িয়ে। এতটা কয়েকজন পারে? আমরা পারি, পেরেছি, বাংলাদেশে আছে একজন শেখ হাসিনা। যার সাহসী নেতৃত্বে তৈরী হচ্ছে বাংলাদেশের একের পর এক স্থাপনা মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কর্নফুলি টানেল, পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, আন্তজার্তিক মানের সমুদ্র সৈকত। পাশাপাশি একটি কথা না বললেই নয়, রংপুর বিভাগের সন্তান হিসেবে ঢাকা রংপুরের চার লেনের মহাসড়ক। যা পুরো রংপুর রাজশাহী বিভাগের মানুষের জন্য আশির্বাদ।এসব উন্নয়ন  আজ এদেশের কোটি কোটি মানুষের যেমন কর্মস্থান তৈরী করছে তেমনি বিশ্বের অনেক দেশ তাদের অর্থনৈতিক প্রসার ঘটাতে আগ্রহী হয়ে উঠছে বাংলাদেশে। বিপুলসংখ্যক জনগণের এ দেশ যেমন কৃষিতে স্বনির্ভর তেমনি এসব মেগাপ্রজেক্টের সুফল পেলে প্রযুক্তি, উৎপাদান মুখী ইন্ডাস্ট্রি তৈরী করতে বিপুল সংখ্যক জনশক্তি তৈরী করবে।

পাশাপাশি একজন কৃষিবিদ হিসেবে দেশের এতো কোটি মানুষের খাদ্যের কথা ভাবতে হয়, পদ্মা সেতুর সরাসরি সাফল্য পাবেএদের হাজার হাজার কৃষক ও কৃষি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী। এবং একটি আশা জাগানিয়া পদ্মা সেতুর সার্ভিস এরিয়া গুলি হবে সবুজবৃক্ষ আর ফলদ বৃক্ষের অরন্য লোকালয় এটাই প্রত্যাশা। তাই প্রস্তাব রাখছি এগ্রো এস্থেটিক ভ্যালু বৃদ্ধি ও এর সার্ভিস এরিয়ারজন্য একটি আধুনিক হর্টিকালচার সেন্টার স্থপনও এখানে ভীষণ জরুরি। যা পদ্মা সেতুর সার্ভিস এরিয়াকে আধুনিক কৃষিব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎপাদন মুখী জনবান্ধন পরিবেশ গড়তে অসামান্য ভুমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। সর্বোপরি এদেশেরধুলিকণা আমাদের রক্তে কেনা। তাই এমন গৌরবের স্থাপনার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা; আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। দীর্ঘায়ু হোক আপনার জীবন আর সুন্দর সমৃদ্ধ হোক আপনার হাত ধরে জাতির পিতারসোনার বাংলা। জয় বাংলা।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *