জীবনবোধ ও সৌন্দর্যচেতনায় অনন্য নাজমুল হাসানের কবিতা। শব্দ নির্বাচনে তিনি ভীষণ সচেতন। ভাষা ও বিষয়বস্তু নির্বাচনে নাজমুলের দায়বোধ লক্ষণীয়। তার কবিতায় বোধ-বোধি, চিন্তা-দর্শন ও মন-মননের ছাপ স্পষ্ট। সহজ-সরল প্রাঞ্জল শব্দের ব্যবহার অথচ গভীর ব্যঞ্জনায় ঋদ্ধ। নাজমুলের কবিতায় টের পাওয়া যায় প্রাণের স্পন্দন।
কবিতা তো জীবনবোধের নান্দনিক প্রকাশ। নাজমুলের ‘নির্জন শোভাযাত্রা’ গ্রন্থভুক্ত প্রতিটি কবিতা যেন এক-একটি স্বপ্নের আখ্যান। জীবনের গল্পগাথা, দুঃখ-ভালোবাসার স্পষ্ট উচ্চারণ।
কবিতায় নাজমুল হাসান যেমন সমাজের অসঙ্গতি, মানুষের নৈতিক অবক্ষয় চিত্রিত করেছেন, তেমনি সহজ-সরল ভাষায় রচিত কবিতাগুলো জীবন, জগৎ, প্রকৃতি, ও মানুষের মনকে দেখার নিজস্বতায় উদ্ভাসিত। এখানেই কবির সার্থকতা।

লেখক নাজমুল হাসানের জন্ম ১৭ সেপ্টেম্বর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। বাবা প্রয়াত শামসুল হক ছিলেন সরকারি চাকুরে। মা প্রয়াতরোকেয়া বেগম সংসার সামলে সন্তানদের মানুষ করার চেষ্টা করেছেন। বাবা–মায়ের কনিষ্ঠ সন্তান তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন নাজমুল হাসান। পরে রাজশাহীবিশ্ববিদ্যালয়ে আইন ও বিচার বিভাগ থেকে এমপিএস ডিগ্রি অর্জন করেন।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন তিনি। বর্তমানে অতিরিক্তপুলিশ সুপার হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশে কর্মরত। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখি ও সম্পাদনাসহ নানানসামাজিক–সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
স্ত্রী রুবাইয়া খানম এবং কন্যা উশানকে নিয়ে তাঁর সংসার জীবন।
‘নির্জন শোভাযাত্রা’লেখকের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।
