দীর্ঘ ৫ বছরের অধ্যবসায়ে শেষ করলেন মেঘনাদবধ কাব্য। আব্দুল্লাহ আল হাদী নিয়মিতভাবে এ সময়কাল পাঁচ বছর উল্লেখ করলেও তিনি আরো জানান এ সময় কাল অনেক বেশি বৈকি কম নয়। কেননা শুধু রেকডিং সময়কাল লেগেছে পাঁচ বছর।
দীর্ঘ ৫ বছরের অধ্যবসায়ে শেষ করলেন মেঘনাদবধ কাব্য কবি আব্দুল্লাহ আল হাদী। বাংলা সাহিত্যের প্রথম কবিতা মেঘনাদবধ। ১৯–শতকীয় বাঙালি কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের অমিত্রাক্ষর ছন্দে লেখা বীর ও করুন রসের প্রাধান্যে বাংলা সাহিত্যে এ কাব্যের স্থান একক এবং অদ্বিতীয়। ১৮৬১ সালে দুই খণ্ডে বই আকারে প্রকাশিত হয়। কাব্যটি মোট নয়টি সর্গে বিভক্ত। মেঘনাদবধ মহাকাব্য রামায়ণ অবলম্বনে রচিত, যদিও এর মধ্যে নানা মহাকাব্যের ছাপও সুস্পষ্ট। আখ্যান ভাগ প্রথম সর্গ, মেঘনাদবধ কাব্যের প্রথম সর্গের নাম ‘অভিষেক’। মেঘনাদবধ কাব্যের বিষয়বস্তু প্রথম সর্গ ‘অভিষেক’ দ্বিতীয় সর্গ ‘অস্ত্রলাভ’ তৃতীয় সর্গ ‘সমাগম’ চতুর্থ সর্গ ‘অশোকবন’ ষষ্ঠ সর্গ ‘বধ’ সপ্তম সর্গ ‘শক্তিনির্ভেদ‘ অষ্টম সর্গ ‘প্রেতপুরী’ নবম সর্গ ‘সংস্ক্রিয়া’।
মেঘনাদবধ কাব্য ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯
১৮৬১ সালে মেঘনাদবধ লিখিত হলেও তা স্টুডিও ভার্সনে পঠিত হলো ২০২৪ সালে এসে, প্রায় দেড়শত বছর পরে। যা কবি আব্দুল্লাহ আল হাদী অনেক যত্ন সহকারে করতে সক্ষম হয়েছেন।
আবদুল্লাহ আল হাদীর এই আবৃত্তির বেশিরভাগ অংশের জন্য রিফাত নোবেল ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক প্লেয়ার ছিলেন যা উল্লেখ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদিও প্রথম খণ্ডে এ কাজে সংযুক্ত ছিলেন আহনাফ খান অনিক এবং দ্বিতীয় খণ্ড করেছেন শরীফ আরেফিন রনি। আর কবি আবদুল্লাহ আল হাদীর বহুমুখী আবৃত্তি শৈলী প্রতি সর্গকেই একে একে ভিন্ন ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে।
নিউজ/মেঘনাদবধ