‘৩১তম বিসিএস ক্যাডার এসোসিয়েশন’
গঠনতন্ত্র ১৫.০১.২০১৩



১। নামকরণঃ এই এসোসিয়েশনের নাম ‘৩১তম বিসিএস ক্যাডার এসোসিয়েশন’ (সংক্ষেপে ৩১ বিসিএস এসোসিয়েশন, অথবা সমবায়ের ক্ষেত্রে ৩১তম বিসিএস এসোসিয়েশন কো-অপারেটিভ) নামে পরিচিত ও অভিহিত হবে।
২। সদরদপ্তরঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের বর্তমান রাজধানী ঢাকায় (অথবা অন্য কোন শহরকে রাজধানী ঘোষনা করা হলে) এসোসিয়েশনের নিজস্ব ভবন এবং সদরদপ্তর অবস্থিত হবে।
৩। সংজ্ঞা ও ব্যাখ্যাঃ প্রথমত এটি একটি অলিখিত গঠনতন্ত্র বলে বিবেচিত হবে, এবং সাধারণ সদস্যদের বিরোধার্থে এই গঠনতন্ত্রে যাই থাকুক না কেন তা বাতিল বলে গণ্য হবে। এই গঠনতন্ত্রে নিম্নলিখিত শব্দ ও অভিব্যক্তি সমূহের অর্থ, বিষয়বস্তু ও সূত্র অনুযায়ী অনূরূপ প্রয়োজন না হলে ঐগুলির বিপরীতে সমার্থক অর্থকেই বুঝাবেঃ
(ক) ‘এসোসিয়েশন’ বলতে ৩১তম বিসিএস ক্যাডার এসোসিয়েশন (সংক্ষেপে ৩১ বিসিএস এসোসিয়েশন) কে বুঝাবে।
(খ) ‘গঠনতন্ত্র’ বলতে এই এসোসিয়েশনের গঠনতন্ত্র এবং এর অধীন প্রণীত বিধিমালাকে বুঝাবে।
(গ) ‘কর্মকর্তা’ বলতে ৩১তম বিসিএস প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বাছাই হয়ে পিএসসি কর্তৃক সুপারিশকৃত বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বোঝাবে।
(ঘ) ‘ক্যাডার’ বলতে পিএসসি’র মাধ্যমে ৩১তম বিসিএস উত্তীর্ণ প্রার্থীগণ যে সকল ক্যাডারে যোগদান করেছেন সে সকল ক্যাডারকে বুঝাবে।
(ঙ) ‘সদস্য’ বলতে ক্যাডার বা পদমর্যাদা বা সময় নির্বিশেষে ৩১তম বিসিএস ব্যাচের ক্যাডার সার্ভিসের চাকুরীতে বা অবসরপ্রাপ্ত বা পদত্যাগী কর্মকর্তাকে বোঝাবে। কমিটির সদস্য বলতে চাকুরীরত সংশ্লিষ্ট কমিটির মনোনীত/নির্বাচিত বা পদাধিকার বলে অর্ন্তভূক্ত কার্যনির্বাহী সদস্য/পদাধিকারী কে বুঝাবে।
(চ) ‘সভাপতি’ বলতে এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতিকে বুঝাবে।
(ছ) ‘সাধারণ সম্পাদক’ বলতে এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক কে বুঝাবে।
(জ) ‘কোষাধ্যক্ষ, সহ–সভাপতি, যুগ্ম–সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ভ্রমণ বিষয়ক সম্পাদক, আন্তঃ ব্যাচ সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক, ক্রীড়া ও সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক, আইন ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয় সম্পাদক, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক, নারী ও শিশু উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক, কার্যনির্বাহী সদস্য,’ বলতে ৩১তম বিসিএস ক্যাডার এসোসিয়েশনের গঠণতন্ত্র অনুযায়ী কার্যনির্বাহী পরিষদের কোষাধ্যক্ষ, সহ–সভাপতি, যুগ্ম–সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক, শিক্ষা, সংস্কৃতিও ভ্রমণ বিষয়ক সম্পাদক, আন্তঃ ব্যাচ সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক, ক্রীড়া ও সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক, আইন ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয় সম্পাদক, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক, নারী ও শিশু কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক, কার্যনির্বাহী সদস্য/গণকে কমিটির বুঝাবে। অথবা বিদ্যমান কমিটির মুল কাঠামোকে বুঝাবে।
(ঝ) ‘পরিবার’ বলতে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ৩১তম বিসিএস ব্যাচের কর্মকর্তা, তাদের স্বামী/স্ত্রী ও সন্তান–সন্ততি বোঝাবে।
(ঞ) ‘মনোগ্রাম’ ও ‘সীলমোহর’ বলতে এসোসিয়েশনের নির্ধারিত মনোগ্রাম ও সীলমোহরকে বুঝাবে। (বর্তমান – ৩১ লেখার উপর লাল বৃত্তের মধ্যে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত)
৪। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ উন্নয়নমূখী পেশাজীবি একটি অরাজনৈতিক ও কল্যাণধর্মী সংগঠন হিসেবে এই এসোসিয়েশনের লক্ষ্য ওউদ্দেশ্য নিম্নরূপ হবেঃ
(ক) সদস্যদের মধ্যে পারস্পিরিক সহযোগিতা, সহমর্মিতা ও একান্তবোধ জাগ্রত করা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে সততা, নিরপেক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ করা।
(খ) যে কোন সদস্য বা সকল সদস্যের আইন অনুযায়ী ও ন্যায় সংগত অধিকার যথাঃ চাকুরীর কাঠামো, বেতন–ভাতাদি, পদমর্যাদা, জ্যেষ্ঠতা, পদোন্নতি, প্রশিক্ষণ ইত্যাদি সকল স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দাবীসমূহ ন্যায়নীতি, ন্যায্য অধিকার ও সহমর্মিতার ভিত্তিতেপ্রতিষ্ঠা ও সংরক্ষণের জন্য সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
(গ) সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং এসোসিয়েশনের সকল সদস্যের জনকল্যাণ মূলক কার্যক্রমের ব্যবস্থা করা।
(ঘ) এই এসোসিয়েশনের সদস্যদের পরিবারের তালিকা সংরক্ষণ এবং তাদের কল্যাণ কাজে সহায়তা করা।
(ঙ) দেশ ও জনগণের সার্বিক কল্যাণ সাধন ও সেবার উদ্দেশ্যে সদস্যগণের পেশাগত দক্ষতা সংরক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য কার্যকরব্যবস্থা গ্রহণ।
(চ) সার্বিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে দেশের প্রচলিত আইন মোতাবেক পারস্পরিক সম্পর্কস্থাপন ও উন্নয়ন করা।
(ছ) এই এসোসিয়েশনের জ্যেষ্ঠ ও অনুজ সদস্যদের যৌক্তিক ও আইনসংগত কাজে সমর্থন ও সহায়তা প্রদান।
(জ) এই এসোসিয়েশনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা, প্রয়োজনে অন্য এসোসিয়েশনের সহায়তা গ্রহণ করা এবং সহায়তা প্রদান করা।
(ঝ) এই এসোসিয়েশনের সদস্যদের আবাসন সমস্যা, স্বাস্থ্য সমস্যা, জ্ঞান অর্জনে প্রতিবন্ধকতা দূর করা ইত্যাদি সমস্যা সমাধানে বাস্তবমূখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
(ঞ) উল্লিখিত উদ্দেশ্য ও লক্ষ অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়ক সকল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা।
(ট) বৃক্ষরোপণ, মানুষিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা তৈরী, শিশুদের জন্য সহায়ক সমাজ বিনির্মাণ ইত্যাদি সেবামূলক কাজ করে যাওয়া।
৫। সদস্যঃ
(ক) ৩১ তম বিসিএিস ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত ও কর্মরত সকল কর্মকর্তা এসোসিয়েশনের সদস্য হবেন। চাকুরীরত অবস্থায় পঙ্গুত্ববরণ বা অন্য কোন শারীরিক ও মানসিক কারণে চাকুরী করতে অসমর্থ কর্মকর্তার সদস্যপদ বহাল থাকবে।
(খ) চাকুরী হতে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত, বহিস্কার, অপসারণ বা অন্য কোন আইনঙ্গগত কারণে চাকুরী হারালে অথবা এসোসিয়েশনের স্বার্থ পরিপন্থী কোন কাজ করলে তিনি এ এসোসিয়েশনের সদস্যপদ হারাবেন অর্থাৎ সদস্য হিসেবে বহাল থাকবেন না এবং এসোসিয়েশনের নিকট হতে প্রাপ্য যৌক্তিক পাওনাদি বুঝে নিবেন এবং তার নিকট হতে প্রাপ্য সকল পাওনাদি তিনি এসোসিয়েশনের নিকট পরিশোধ করবেন।
(গ) চাকুরীতে বহাল সকল সদস্যই আজীবন সদস্য হিসেবে গণ্য হবেন।
(ঘ) সকল সদস্য মতামত প্রয়োগ, সভায় উপস্থিত থাকার এবং এসোসিয়েশনের কর্মকর্তা হিসেবে নির্বাচিত হওয়া ছাড়াও এসোসিয়েশনের সদস্যের সকল অধিকার ভোগ করবেন।
(ঙ) চাকুরীর অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে সদস্যপদ রহিত হবে এবং পরিবারের সদস্যগণ যৌক্তিক পাওনাদি ভোগ করবেন।
৬। সর্বোচ্চ পরিষদঃ সাধারণ পরিষদই এসোসিয়েশনের সর্বোচ্চ পরিষদ।
৭। সাধারণ পরিষদের গঠন ও ক্ষমতাঃ
(ক) বৎসরে নূন্যতম একবার এসোসিয়েশনের সকল সদস্যের উপস্থিতিতে সাধারণ পরিষদের বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হবে।সাধারণ সভার জন্য অন্ততঃ পনের দিন পূর্বে নোটিশ জারি করতে হবে। সভার তথ্য সরাসরি সকল সদস্যকে অবহিত করতেহবে। (প্রয়োজনে সংবাদপত্র বা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার বা ই–মেইলের মাধ্যমে নোটিশ দেয়া যাবে)। সভা আহবান এবং যদি স্থগিতকরা হয় উভয় তথ্যই জানাতে হবে।
(খ) সাধারণ সভার মতামতের ভিত্তিতে গঠণতন্ত্রে উল্লিখিত পদ্ধতিতে ত্রৈবার্ষিক কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হবে।
(গ) সাধারণ সভায় এসোসিয়েশনের বার্ষিক রিপোর্ট, আয় ও ব্যয়ের হিসাব, বার্ষিক বাজেট ও ব্যয় বরাদ্দ বিবেচনা ওঅনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করতে হবে এবং সর্বসম্মতভাবে পাশ করতে হবে।
(ঘ) সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এসোসিয়েশনের ভবিষ্যত কর্মপন্থা ও করণীয় বিষয়ে প্রস্তাব উত্থাপন এবং তা নির্ধারণ করতে হবে।
(ঙ) সাধারণ সভার কার্যক্রম সদস্যদের (যদি প্রয়োজন হয়) জানাতে হবে এবং পরবর্তী সাধারণ সভায় কার্যবিবরণী দৃঢ় করতে হবে।
৮। জরুরী সাধারণ সভাঃ এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটি অপ্রত্যাশিত প্রয়োজনে বা কারণে বা ঘটনার প্রেক্ষিতে এসোসিয়েশনের স্বার্থ রক্ষার্থে বা কোন নীতির ত্বড়িৎ অনুমোদনের স্বার্থে একসপ্তাহের নোটিশে জরুরী সভা আহবান করতেপারবে। কোন কারণে কার্যনির্বাহী কমিটি অকৃতকার্য হলে বা একাদিক্রমে কোরামের অভাবে এসোসিয়েশনের সভা করতে না পারলে সভাপতি নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচনের জন্য জরুরী সাধারণ সভা আহবান করতে পারবেন এবং এ সভায় গঠিত গঠনতন্ত্রে উল্লিখিত এড্হক কিংবা উপদেষ্টা পরিষদ সাধারণ সভায় গঠিত বলে গণ্য হবে।
৯। কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সভাঃ প্রতি ছয় মাসে অন্ততঃপক্ষে ০১(এক) বার কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
১০। কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সভা ও জরুরী সভার কোরাম ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ পদ্ধতিঃ
(ক) সভায় কার্যনির্বাহী কমিটির এক চতুর্থাংশ সদস্য অথবা কার্যনির্বাহী কমিটির মধ্যে প্রতি ক্যাডার থেকে ন্যূনতম একজন করে ধরে এক চতুর্থাংশ উপস্থিত থাকলে সভার কোরাম হবে। তবে মূলতবী সভার জন্য কোরাম প্রযোজ্য হবে না। সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ মত অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে সভায় সরাসরি অংশগ্রহণ, মত ও ভোট প্রদান করা যাবে।
(খ) সভাপতির অনুপস্থিতিতে জ্যেষ্ঠ সহ–সভাপতি এবং উভয়ের অনুপস্থিতিতে কার্যনির্বাহী কমিটির উপস্থিত সদস্যগণের সর্ব সম্মতিতে নির্ধারিত সদস্য সভাপতিত্ব করবেন। মূলতবী সভার জন্য কোরাম প্রয়োজন হবে না। সংখ্যাধিক্য মতকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পদ্ধতি হিসেবে গণ্য করা হবে।
(গ) কমিটি উপযুক্ত মনে করলে কোন বিষয়ে সম্প্রসারিত/বর্ধিত সভা আহবান করতে পারবেন।
(ঘ) উল্লিখিত সকল গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ ও কার্যাবলী পরবর্তী বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থাপন করতে হবে ও অনুমোদন নিতে হবে।
১১। কার্যনির্বাহী কমিটিঃ
(ক) এসোসিয়েশনের সকল প্রকার কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব কার্যনির্বাহী পরিষদের উপর ন্যস্ত থাকবে যা ‘কার্যনির্বাহী কমিটি’ নামে অভিহিত হবে। কার্যনির্বাহী কমিটির কর্মকর্তাবৃন্দ এসোসিয়েশনের নামে এসোসিয়েশনের সকল কার্য পরিচালনা করবেন। বিভাগওয়ারী একজন সাংগঠনিক সম্পাদক থাকবেন যিনি এই গঠনতন্ত্রে উল্লিখিত পদ্ধতিতে নির্বাচিত হবেন এবং এই এসোসিয়েশনের কার্যক্রমকে বিভাগীয় পর্যায়ে আরো ফলপ্রসূ ও গতিশীল করবেন।
(খ) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যে কোন সদস্য নির্বাচিত হতে পারবেন। (সংশোধিত ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০)
(গ) চলমান কমিটির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, পুনরায় মনোনীত না হয়ে থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরবর্তী কমিটির কার্যকরী সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হবেন।
(ঘ) নির্বাচনঃ সাধারণত সমঝোতার ভিত্তিতে কমিটি গঠনের চেষ্টা করতে হবে। তা না সম্ভব হলে পূর্বোক্ত সভাপতি বিগত মিটিং গুলোতে উপস্থিতির ভিত্তিতে ভোটার তালিকা তৈয়ার পূর্বক নির্বাচনের আয়োজন করবেন। এবং পরবর্তী নির্বাচিত কমিটির নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন।
১২। কার্যনির্বাহী কমিটির গঠন প্রকৃতি, সদস্য সংখ্যা ও দপ্তরসমূহঃ
(ক) কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সাধারণত বার্ষিক সাধারণ সভায় সর্বসম্মতি ক্রমে আপোষের মাধ্যমে বা প্রয়োজনবোধে প্রত্যক্ষ/পরোক্ষ ভোটের মাধ্যমে (তবে আপোষের প্রজনীয়তা গুরুত্ব দিয়ে) এই গঠনতন্ত্রে উল্লিখিত পদ্ধতিতে নির্বাচিত হবেন।
(খ) উপরোক্ত পদ্ধতিতে নির্বাচিত এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কার্যনির্বাহী কমিটির নিম্ন বর্ণিত অন্যান্য সদস্য গণকে (কার্যনির্বাহী সদস্য ব্যতিত) নিযুক্ত করবেন।
(গ) ভোটাধিকার প্রাপ্ত বিভিন্ন ক্যাডারের সভাপতিগণ পদাধিকার বলে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নিযুক্ত হবেন। তিনি অপারগতা প্রকাশ করলে তার সম্মতিক্রমে উক্ত ক্যাডার হতে একজন কার্যনির্বাহী সদস্য নিযুক্ত হবেন।
(ঘ) কার্যনির্বাহী কমিটির গঠন নিম্নরূপ হবেঃ
১ সভাপতি একজন
২ সহ–সভাপতি দশ জন
৩ সাধারণ সম্পাদক একজন
৪ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দশ জন বা অধিক
৫ সাংগঠনিক সম্পাদক দশ জন বা অধিক
৬ কোষাধ্যক্ষ একজন
৭ প্রচার সম্পাদক – একজন
৮ দপ্তর সম্পাদক – একজন
৯ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক – একজন
১০ মানব সম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক – একজন
১১ সাংস্কৃতিক সম্পাদক – একজন
১২ প্রকাশনা সম্পাদক – একজন
১৪ পরিবেশ সম্পাদক – একজন
১৫ মিডিয়া সম্পাদক – একজন
১৬ তথ্য বিষয়ক সম্পাদক – একজন
১৭ ক্রীড়া সম্পাদক – একজন
১৮ ইনোভেশন সম্পাদক – একজন
১৯ মনিটরিং এন্ড ইভালুশন সম্পাদক – একজন
২০ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক – একজন
২১ রিসার্স ও ডকুমেন্টেশন – একজন
২২ অভ্যন্তরীণ কমিউনিকেশন সম্পাদক – একজন
২৩ পূর্ত সম্পাদক – একজন
২৪ নারী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক – একজন
২৫ অভ্যন্তরীন সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক – একজন
২৬ গণ যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক – একজন
২৭ প্রযুক্তি সম্পাদক – একজন
২৯ আন্তঃ ব্যাচ সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক – একজন
৩০ ক্রীড়া ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক – একজন
৩১ আইন ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক – একজন
৩২ শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ভ্রমণ বিষয়ক সম্পাদক – এক জন
৩৩ কার্যনির্বাহী সদস্য ছাব্বিশ জন (২৬ ক্যাডার থেকে )
৩৪ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক – একজন
৩৫ কৃষি বিষয়ক সম্পাদক – একজন
৩৬ সমবায় বিষয়ক সম্পাদক – একজন
(ঙ) কার্যনির্বাহী কমিটি প্রয়োজনে এক বা একাধিক উপ–কমিটি গঠন করতে পারবে। এ সকল উপ–কমিটিতে কোন এক্সপার্ট বাসাধারণ পরিষদের কোন সদস্য বা কার্যনির্বাহী কমিটির যে কোন সদস্যকে কোঅপ্ট করা যাবে। উদ্দেশ্য সমাপণান্তে উপকমিটিবিলুপ্ত হবে।
(চ) উপদেষ্টা পরিষদঃ সভাপতি তাঁর সুবিধামত উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করিতে পারিবেন।
১৩। কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ ও কার্যক্রমঃ
(ক) প্রথম ০২(দুই) কমিটি ২ বছর মেয়াদে কার্যনির্বাহী কমিটির দায়িত্বে থাকবেন। পরবর্তীতে বার্ষিক সাধারন সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনবোধে ০৩ (তিন) বছর মেয়াদে কমিটি হবে। কমিটি কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদকাল দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ হতে বিবেচনা করা হবে এবং মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার ৩০ দিন পূর্বেই প্রত্যক্ষ/পরোক্ষ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে।
(খ) কোন অনিবার্য কারণবশতঃ নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচন করা সম্ভব না হলে পরবর্তী নতুন কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত চলমান কার্যনির্বাহী কমিটি দায়িত্ব পালন করবে। তবে নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন ও কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন সম্পন্ন করতে হবে। কেবল অলঙ্ঘনীয় আইনগত বাধা ও জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে বিবেচ্য প্রাকৃতিক/মানবসৃষ্ট দুর্যোগ অনুরুপ প্রকৃতি গুরুতর বিপত্তি এই ক্ষেত্রে অনিবার্য কারণ হতে পারবে।
(গ) চলমান কমিটি ফলাফল ঘোষণার এক সপ্তাহের মধ্যে বার্ষিক সাধারণ সভায় নির্বাচিত নতুন কমিটির নিকট দায়িত্বভার হস্তান্তর করবেন। উক্ত সময়ের মধ্যে দায়িত্বভার হস্তান্তর না করলে নির্ধারিত সময়ান্তে নব নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটি দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন মর্মে গণ্য হবে।
১৪। কার্যনির্বাহী কমিটির দায়িত্ব ও কতব্যঃ
(ক) কার্যনির্বাহী কমিটি প্রতি ০৬(ছয়) মাসে অন্ততপক্ষে একটি মিটিং করবে।
(খ) কার্যনির্বাহী কমিটি সদস্যদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য উপযুক্ত কতৃপক্ষ/পক্ষাদি/সহযোগীসংগঠনের সাথে আলোচনা করবে, স্মারকলিপি ইত্যাদি প্রণয়ন করবে এবং উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করবে।
(গ) কার্যনির্বাহী কমিটি বিভিন্ন ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন, দক্ষতা বর্ধন ও জনবান্ধব কার্যক্রমের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবে।
(ঘ) কার্যনির্বাহী কমিটি পেশানুকুল প্রয়োজনীয় সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ, সেমিনার, ওয়ার্কশপ/কর্মশালা, বক্তৃতার আয়োজন করতে পারবে এবং সাময়িকী ও প্রকাশনার ব্যবস্থা করবে।
(ঙ) কার্যনির্বাহী কমিটি সকল প্রকার আর্থিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচলনা করবে, আয়–ব্যয় (বাজেট) প্রণয়ন ও নির্ধারণ করবে, অডিট করবে এবং নির্বাহী পরিষদে প্রকাশ করবে।
(চ) সদস্যদের কল্যাণার্থে প্রয়োজনীয় আর্থিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম গ্রহণ করবে। বিশেষ করে এসোসিয়েশনের কোন সদস্য, সদস্যের পরিবারের সদস্য (পরিবারের সংজ্ঞানুযায়ী) দূরারোগ্য ব্যাধি, দূর্ঘটনা বা অন্য যে কোন বিপদের সম্মুখীন হলে ঐ সদস্য বা তাঁর পরিবার সম্মত হলে এসোসিয়েশন প্রয়োজনীয় সহায়তা করবে।
(ছ) সদস্যদের আবাসিক সমস্যা সমাধানে যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণে সচেষ্ট থাকবে।
(জ) বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসসমূহ উদ্যাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ও বিভিন্ন ভ্রমণ ও পিকনিকের আয়োজনে সচেষ্ট থাকবে।
(ঝ) সদস্যদের পারস্পারিক যোগাযোগ, সামাজিক বন্ধন বৃদ্ধির জন্য তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে যোগাযোগ ও প্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণকরবে।
(ঞ) বিশেষ জরুরী প্রয়োজনে কার্যনির্বাহী কমিটি সাধারণ পরিষদের ক্ষমতাসমূহ এসোসিয়েশনের বৃহত্তর স্বার্থে প্রয়োগ করতে পারবে। তবে পরবর্তী সাধারণ সভায় তা উপস্থাপন ও অনুমোদন করতে হবে। অন্যথায় ব্যক্তিগত দায় বলে গণ্য হবে।
১৫। সভার কার্যধারা ও সদস্যপদ বাতিলঃ
(ক) সাধারণত কার্যনির্বাহী কমিটির সভা প্রতি ছয় মাসে অন্ততপক্ষে একবার অনুষ্ঠিত হবে। প্রয়োজনে জরুরী সভা করা যাবে।সভার আলোচ্য বিষয় করে নোটিশ দিয়ে সভা আহ্বান করতে হবে (নোটিশ সদস্যগণ জেনেছেন তা নিশ্চিত করতে হবে)।
(খ) কার্যনির্বাহী কমিটির পূর্বসভার প্রস্তাব/ আলোচনা সমূহ পরবর্তী সভায় প্রথমেই দৃঢ় করতে হবে, অতঃপর অন্যান্য আলোচনা করতে হবে।
(গ) কোন সদস্য সভায় উপস্থিত হতে না পারলে সভাপতিকে অবহিত করতে হবে এবং সভাপতিকে অবহিত না করে অলঙ্গঘনীয় যুক্তিসংগত কারণ ব্যাতীত কোন সদস্য পরপর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকলে কার্যনির্বাহী কমিটি হতে তার সদস্যপদ আপনা থেকে বাতিল বলে গণ্য হবে। তবে তৎপূর্বে তাকে কারণ সহ অবহিত করতে হবে এবং তার জবাব বিবেচনা করতে হবে।
১৬। পদত্যাগ ও শূন্য আসন পূরণঃ
(ক) কোন সদস্য দায়িত্ব পালনে অপারগ হলে সুস্পষ্ট কারণ উল্লেখ করে সভাপতি বরাবর লিখিত পত্র দিবেন সভাপতি উক্ত পত্র কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় বিবেচনার জন্য পেশ করবেন এবং কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আবেদনকারীকে এবং সদস্যদের অবহিত করবেন। এক্ষেত্রে উক্ত পদ শূন্য বলে ঘোষিত হবে। এ সিদ্ধান্ত পরবর্তী সাধারণ সভায় উপস্থাপন করতে হবে, তৎপূর্বে কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
(খ) সদস্যের মৃত্যূ হলে উক্ত পদ শূন্য হবে। কার্যনির্বাহী কোন সদস্যের পুরোপুরি চাকুরিচ্যূতির কারণে সাধারণ সদস্যপদ হারালে কার্যনির্বাহী কমিটির উক্তপদ শূন্য হবে।
(গ) শূন্য পদে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে একজন সদস্যকে নিযুক্ত করা হবে।
(ঘ) কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি/সম্পাদকের স্বেচ্ছায় পদত্যাগ/চাকুরীচ্যূতি/ মৃত্যুজনিত কারণে পদ শূন্য হলে জৈষ্ঠ্যসহ–সভাপতি/সম্পাদক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হবেন।
১৭। কার্যনির্বাহী কমিটির তলবী সভাঃ কার্যনির্বাহী কমিটির একপঞ্চমাংশ সদস্য লিখিতভাবে সভাপতিকে জানালে সভাপতি অনুরুপ দাবীর প্রেক্ষিতে সাত দিনের মধ্যে তলবী সভা আহ্বান করবেন।
১৮। সাধারণ পরিষদের নিকট দায়ীঃ দায়িত্ব পালনকালে কার্য নির্বাহী কমিটির সকল সদস্য কার্য নির্বাহী কমিটির নিকট এককভাবে এবং কার্যনির্বাহী কমিটি যৌথভাবে সাধারণ পরিষদের নিকট দায়ী থাকবে।
১৯। সভাপতির দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
(ক) সভাপতি এসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভায়, জরুরী সাধারণ সভায় এবং এসোসিয়েশনের এ ধরণের সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
(খ) সভাপতি সাধারণ সম্পাদককে সাধারণ পরিষদের, কার্যনির্বাহী কমিটি, তলবী সভা, জরুরী সভা এবং এ ধরণের সকল সভা আহ্বানের জন্য অনুরোধ–করবেন/নির্দেশ দিবেন। প্রয়োজনে সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের সাথে আলোচনা করে উপযুক্ত বিবেচনায় নিজেই উক্তরূপ আহ্বান করবেন।
(গ) এসোসিয়েশনের সভাসমূহ পরিচালনার ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত প্রাধান্য দিবেন।
(ঘ) এসোসিয়েশনের গঠনতন্ত্র, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সমুন্নত রাখবেন এবং এসোসিয়েশনের স্বার্থ সংরক্ষণে সর্বদা তৎপর থাকবেন।
(ঙ) সাধারণ পরিষদের প্রণীত নীতি ও সম্পাদকের কার্য সম্পাদনে/বাস্তবায়নে সার্বিক তদারকির দায়িত্ব এসোসিয়েশনের প্রধানহিসাবে সভাপতি থাকবে এবং তিনি তাৎক্ষণিক প্রায়োজনীয় নির্দেশনা দিতে পারবেন তবে পরবর্তী সভায় সেসব পাশ করতে হবে।
(চ) কমিটির সদস্যদের প্রয়োজনে দ্রুত সাড়া দিবেন।
(ছ) কারণ বশতঃ সভাপতি তার অনুপস্থিতকালীন দায়িত্ব পালন করার জন্য জ্যেষ্ঠ সহ–সভাপতিকে দায়িত্ব প্রদান করবেন।
জ। কোন সদস্যের বিরুদ্ধে কমিটির মধ্যে অর্থনৈতিক কোন বা অন্য যেকোন বিষয়ে শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগ আনয়ন হলে সভাপতি তার সদস্যপদ স্থগিত করতে পারবেন এবং সাধারণ সম্পাদককে অবগত করবেন এবং পরবর্তিতে মিটিং এর মাধ্যমে সংখ্যা গরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
(ঝ) তিনি নিজ দায়িত্ব পালনে এবং কমিটির কাজের জন্য সাধারণ পরিষদের নিকট দায়ী থাকবেন।
২০। সহ– সভাপতিগণের দায়িত্বঃ
(ক) সহ–সভাপতিগণের জ্যেষ্ঠতাঃ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যগণের সর্বসম্মতিক্রমে সহ–সভাপতিগণের জ্যেষ্ঠতার ক্রম নির্ধারিত হবে।
(খ) সভাপতির অনুপস্থিতিতে জ্যেষ্ঠ সহ– সভাপতি দায়িত্ব পালন করবেন। এ ক্ষেত্রে সহ–সভাপতি সভাপতির সকল ক্ষমতালাভ করবেন।
(গ) জ্যেষ্ঠ সহ–সভাপতির অনুপস্থিতিতে কার্যনির্বাহী কমিটির যে কোন সদস্যকে সভাপতি মনোনীত করে সভার কাজ সম্পন্ন করবেন।
(ঘ) সভাপতি ও কার্যনির্বাহী কমিটি ও সাধারণ পরিষদের নিকট দায়ী থাকবেন।
২১। সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
(ক) সাধারণ সম্পাদক এসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হবেন। তিনি কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকবেন। তিনি এসোসিয়েশনের পক্ষে সকল প্রকার যোগাযোগ করবেন, সাধারণ পরিষদ, কার্যনির্বাহী কমিটির– উপ– কমিটি ও সংশ্লিষ্ট সকল উপকমিটিসমূহের সাথে সাধারণ যোগাযোগ ও কার্যকরণের মাধ্যম হবেন।
(খ) সভাপতির পরামর্শ অনুযায়ী সাধারণ সম্পাদক এসোসিয়েশনের সকল সভা আহ্বান করবেন, উক্ত সভাসমূহের কার্যবিবরণীও সিদ্ধান্তসমূহ লিপিবদ্ধ করবেন এবং এসোসিয়েশনের অফিসের রেকর্ড পত্রাদি রক্ষণাবেক্ষণ করবেন ও সভার সিদ্ধান্ত সমূহ সংরক্ষণ করবেন ও বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকবেন। তিনি এসোসিয়েশনের সকল কর্মকান্ড সার্বিকভাবে তত্ত্বাবধান করবেনএবং এ উদ্দেশ্য অন্যান্য কর্মকর্তা/সদস্যের সাথে কার্যকর যোগাযোগ রক্ষা করবেন। তিনি দায়িত্ব পালনে অন্যান্য সদস্য/ কর্মকর্তার সাহায্য গ্রহণ করতে পারবেন।
(গ) তিনি এসোসিয়েশনের কার্যকলাপের উপর বার্ষিক রিপোর্ট প্রণয়ন করবেন এবং সাধারণ পরিষদের সভায় উপস্থাপন করবেন। বার্ষিক আয়–ব্যয়ের হিসাব, বাজেট ইত্যাদি বার্ষিক সাধারণ সভায় বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে জরুরী সাধারণ সভায় পেশ করবেন।
(ঘ) তিনি সভাপতির পরামর্শক্রমে যুগ্ন সাধারণ সম্পাদকগণের মধ্যে কার্যবণ্টন করতে পারবেন।
(ঙ) দায়িত্ব পালনে তিনি সভাপতি, কার্যনির্বাহী কমিটি ও সাধারণ পরিষদের নিকট দায়ী থাকবেন।
২২। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
(ক) সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে সভাপতির অনুমোদনক্রমে জ্যেষ্ঠতম (কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত) যুগ্ম সাধারণসম্পাদক সাধারণ সম্পাদকের সকল দায়িত্ব পালন করবেন।
(খ) সাধারণ সম্পাদকের পরামর্শ অনুযায়ী ২২(ঘ) ধারা মোতাবেক প্রদত্ত কার্যাদি সম্পন্ন করবেন। তিনি/তাঁরা দায়িত্ব পালনে অন্যান্য সদস্য/কর্মকর্তার সাহায্য গ্রহণ করতে পারবেন।
(গ) তিনি/তাঁরা এসোসিয়েশনের কার্যকলাপের উপর বার্ষিক রিপোর্ট প্রণয়নে করবেন এবং সাধারণ পরিষদের সভায় উপস্থাপনে বার্ষিক আয়–ব্যায়ের হিসাব, বাজেট ইত্যাদি প্রণয়নে ও বার্ষিক সাধারণ সভায় পেশ করতে সাধারণ সম্পাদককে পূর্ণ সহযোগিতা করবেন।
(ঘ) দায়িত্ব পালনে তিনি/তাঁরা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, কার্যনির্বাহী কমিটি ও সাধারণ পরিষদের নিকট দায়ী থাকবেন।
২৩। সাংগঠনিক সম্পাদকগণের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
(ক) কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যগণের সর্বসম্মতিক্রমে সাংগঠনিক সম্পাদকগণের জ্যেষ্ঠতার ক্রম নির্ধারিত হবে।
(খ) সংগঠনের কর্মসূচী প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করবেন। এসোসিয়েশনকে আরও শক্তিশালী এবং গতিশীলকরার জন্য সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের সাথে একযোগে কাজ করবেন।
(গ) দায়িত্ব পালনে তিনি/তাঁরা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং কার্যনির্বাহী কমিটির নিকট দায়ী থাকবেন।
২৪। কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
(ক) কোষাধ্যক্ষ এসোসিয়েশনের সকল সদস্যের বার্ষিক চাঁদা, অনুদান, উপযুক্ত প্রদান রশিদের মাধ্যমে আদায় করবেন এবং সকল প্রকার হিসাব সংরক্ষণ করবেন। যিনি আয় ও ব্যায়ের হিসাব যা সাধারণ সভায় উপস্থাপন করা হবে তা সাধারণসম্পাদকের নিকট পেশ করবেন। পরবর্তী বৎসরের জন্য বাজেট প্রস্তুত এবং সাধারণ সভার অনুমোদনের জন্য সাধারণ সম্পাদকের নিকট দাখিল করবেন। তিনি অনধিক ২০,০০০/-(বিশ হাজার) টাকা নগদ হাতে রাখতে পারবেন।
(খ) এসোসিয়েশনের নামে যে কোন তফশিলী ব্যাংকে হিসাব কোষাধ্যক্ষ পরিচালনা করবেন। কোষাধ্যক্ষ চাঁদা আদায়, অন্যান্য আয় ও ব্যয়ের তথ্যাদি সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতিকে নিয়মিত জানাবেন। রেজ্রিষ্ট্রারে তথ্যাদি হালনাগদ করবেন।
(গ) কোষাধ্যক্ষ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুমোদনক্রমে কার্যনির্বাহী সদস্যের অন্ততঃপক্ষে দুই জনকে সহ কোষাধ্যক্ষ হিসেবে কোঅপ্ট করতে পারবেন এবং সহ কোষাধ্যক্ষ কোষাধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করবেন এবং কোষাধ্যক্ষকে তার দায়িত্ব পালনে সাহায্য করবেন।
(ঘ) তিনি সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের সাথে ব্যাংক একাউন্ট পরিচালনা করবেন।
(ঙ) কোষাধ্যক্ষ এবং সহ–কোষাধ্যক্ষগণ কার্য পালনে যৌথভাবে কার্যনির্বাহী কমিটি ও সাধারণ পরিষদের নিকট দায়ী থাকবেন।
২৫। অন্যান্য সম্পাদকদের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
২৫.১ দপ্তর সম্পাদকঃ দপ্তর ও দাপ্তরিক যোগাযোগ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ের পরিচালনা করবেন এবং এসোসিয়েশনের সভার কার্যবিবরণী বহি,নোটিশ বহি সহ সকল রেজিষ্টার (ক্যাশ বই ব্যতীত) সংরক্ষণ করবেন। সভাপতি/সাধারণ সস্পাদক//কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।
২৫.২ আন্তঃ ব্যাচ সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদকঃ পিএসসির মাধ্যমে নির্বাচিত অন্যান্য বিভিন্ন বিসিএস ব্যাচের ক্যাডার কর্মকর্তাগণের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ণে কার্যক্রম গ্রহণ করবে। সভাপতি/সাধারণ সস্পাদক//কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্বপালন করবেন।
২৫.৩ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদকঃ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এসোসিয়েশনের যে কোন প্রচার ও প্রকাশনা কার্যক্রমে মুখপাত্র হিসেবে কাজ করবেন। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এসোসিয়েশনের যে কোন প্রকাশনা যেমন: পত্রিকা, পুস্তিকা, স্যুভেনির, সাময়িকী ইত্যাদি প্রকাশনার কাজে সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবেন। প্রচার ও প্রকাশনাসম্পাদক এসোসিয়েশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনে প্রয়োজনীয় প্রচার ও সম্প্রচার কাজ পরিচালনা করবেন। সভাপতি/সাধারণসস্পাদক//কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।
২৫.৪ ক্রীড়া ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকঃ ক্রীড়া ও কল্যাণমূলক বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করবেন। সভাপতি/সাধারণ সস্পাদক//কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।
২৫.৫ আইন ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদকঃ এসোসিয়েশন ও এর সদস্যদের প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা প্রদান করবেন।এসোসিয়েশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জন ও সার্বিক উৎকর্ষ সাধনের জন্য প্রয়োজনীয় গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা কিংবা তৎসংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবেন। সভাপতি/সাধারণ সস্পাদক//কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয় সম্পাদকঃ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিসরে এসোসিয়েশনের কার্যপরিধি বিস্তৃতিকরণ ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবেন। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এসোসিয়েশনের সদস্যদের উৎকর্ষ সাধনের জন্য বিভিন্ন সভা,সেমিনার, কর্মশালা, প্রশিক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে সুযোগ সৃষ্টিসহ এসংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে প্রয়োজনীয় যোগযোগ ও সমন্বয় করবেন। এসোসিয়েশন উক্ত কর্মকর্তাদের বৈদেশিক প্রশিক্ষণ, উচ্চশিক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে স্বার্থরক্ষাসহ তৎসংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় ও সহযোগিতা করবেন। বিভিন্ন সময়ে বিদেশে অবস্থানরত এসোসিয়েশনের সদস্যদের সঙ্গে সার্বিক যোগাযোগ রক্ষা ও সমন্বয় সাধন করবেন। সভাপতি/সাধারণ সস্পাদক//কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।
২৫.৬ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদকঃ এসোসিয়েশনের সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য বিষয়ক যে কোন ধরণের সহায়তা প্রদানে সচেষ্ট থাকবে। সভাপতি/সাধারণ সস্পাদক/কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।
২৫.৭ নারী ও শিশু কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকঃ নারী ও এসোসিয়েশনের সদস্যদের স্বার্থসংশ্লিস্ট কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সচেষ্ট থাকবে। বিভিন্ন কল্যাণ কর্মে নিয়োজিত থাকবেন। সভাপতি/সাধারণ সস্পাদক/কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।
২৫.৮ শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ভ্রমণ বিষয়ক সম্পাদকঃ শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ভ্রমণ বিষয়ক সম্পাদক এসোসিয়েশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন শিক্ষামূলক ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড যেমন: বনভোজন, বার্ষিক ভ্রমন, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ইত্যাদি আয়োজন ও পরিচালনা করবেন। সভাপতি/সাধারণ সস্পাদক/কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।
২৫.৯ পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদকঃ বাত্সরিক বৃক্ষরোপণসহ অন্যান্যভাবে পরিবেশ রক্ষায় সচেস্ট থাকবেন। সভাপতি/সাধারণ সস্পাদক/কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।
২৫.১০ কার্যনির্বাহী সদস্যঃ এসোসিয়েশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক/কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক আরোপিত যে কোন দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। সদস্যগণের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে তাঁরা সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক এবং কার্যনির্বাহী কমিটির নিকট দায়ী থাকবেন। বিভিন্ন সময়ে গঠিত উপ–কমিটিতে তাদেরকে কোঅপ্ট করা হলে তারা যথাযথভাবে অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন। সভাপতি/সাধারণ সস্পাদক/কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।
২৬। উপকমিটির দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
(ক) উপকমিটি কাজ সম্পাদনের ক্ষেত্রে কার্যনির্বাহী কমিটির নিকট দায়ী থাকবে এবং কমিটির নিকট রিপোর্ট পেশ করবে।
(খ) উপকমিটি সংশ্লিষ্ট সম্পাদকগণকে সহায়তা প্রদান করবেন।
(গ) উপকমিটির সদস্য বা আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালনে অপারগ হলে কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি বরাবর দরখাস্ত পেশকরবেন। সভাপতি অব্যাহতি প্রদান করে নতুন আহবায়ক নির্ধারণ করতে পারবেন।
২৭। কল্যাণ কর্মঃ
(ক) সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিম্নলিখিত কল্যাণ কাজ গ্রহণ করা যাবে–
১) আর্থিক সংকটে নিমজ্জিত সদস্যদের বা পারিবারের সদস্যদের আর্থিক সহয়তা প্রদান।
২) সদস্যদের সন্তানদের মেধাবৃত্তি (এককালীন) প্রদান”
৩) সরকারী কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯ এর বিধি ১৬ মোতাবেক এসোসিয়েশনের সমবায় কার্যক্রম পরিচালনা করা(কোন সদস্যকে সমবায় সমিতির সদস্য হতে বাধ্য করবে না বা বিদ্যমান কোন সমবায় সমিতিকে নিরুৎসাহিত করবে না বা অন্যকোন সমবায় সমিতির সদস্য হতে বাধ্য প্রদান করবে না কিন্তু কেন্দ্রীয় সমিতি গঠন করা যাবে। এ সকল ক্ষেত্রে দ্বন্দ্ব উদ্ভব হলে এসোসিয়েশনের সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে এবং সকল সদস্যকে মানতে হবে)।
২৮। বার্ষিক চাঁদা ও অনুদানঃ
(ক) সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্ধারিত হারে গ্রহণ করতে হবে।
২৯। সর্বপরি রাষ্ট্রের কল্যাণার্থে সকল সদস্য একযোগে কাজ করে যাবে।