আন্তর্জাতিক নারী দিবসঃ নারীর জন্যে চাই আয়বর্ধনমূলক প্রশিক্ষণ।
প্রেক্ষাপট
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখতেন সমবায়ের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে ক্ষুদ্র কুঠির শিল্প গড়ে উঠবে, গ্রামীনমানুষের জন্যে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে (১৯৭০ সালে টেলিভিশনে প্রদত্ত ভাষণ)। জাতির পিতার স্বপ্নে ছিল দক্ষ মানবসম্পদের উন্নয়নের মাধ্যমে আর্থসামাজিক আন্দোলন ত্বরান্বিত করা। আজ জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ দৃঢ়চেতার সাথে করে যাচ্ছেন আমাদের বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ আজ নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হয়েছে। অপরদিকে,দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী হল নারী। দেশের উন্নয়নের এই ধারা অব্যহত রাখতে দেশের পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরকেও দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করা ছাড়া কোন বিকল্প নাই। গ্রামে গ্রামে আজও মেয়েরা অবহেলিত। তাদেরকে জাতীয় অর্থনৈতিক ধারায় যুক্ত করতে না পারলে দেশের অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা মোকাবেলা করা দুরুহ হয়ে পড়বে। এবং জাতির পিতার যে সোনার বাংলা স্বপ্ন আমরা দেখি,তা অধরাই রয়ে যাবে।
নারীর ক্ষমতায়নে প্রশিক্ষণের গুরুত্ব
যেহেতু দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী, তাই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারীদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে পরিনত করা ছাড়া কোন বিকল্প নাই। ১৯৭২ সালেই জাতির পিতার নেতৃত্বে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধানে রাষ্ট্রেরসকল ক্ষেত্রে পুরুষদের সাথে নারীদের সমান সুযোগের কথা বলা হয়েছে (ধারা ২৮)। ১৯৭২ সালের সংবিধানে অন্য অনেকজায়গায় নারীদের ক্ষমতায়নের কথা বলা হয়েছে। জাতির পিতা বলেছিলেন,-‘নারীদেরও পুরুষদের মতো সমান অধিকার রয়েছেএবং তা রাজনীতির ক্ষেত্রেও। আওয়ামী লীগ যেমন অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করে, তেমনি নর–নারীর সমান অধিকারেওবিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগেও নারী নেতৃত্ব গড়ে তোলা দরকার।‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ৪৯তম জাতীয় সমবায় দিবসেরভাষনে নারী সমবায়ীদের এগিয়ে আসার কথা বলেছেন।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সাথে সামঞ্জস্য করে বাংলাদেশ সরকার ৮ম পঞ্চ বার্ষিকী পরিকল্পনা (২০২০–২০২৫) গ্রহন করেছে, যার মূল স্লোগান হল ‘কাউকে পেছনে ফেলে নয়‘। নির্বাচনী ইশতেহারের আলোকে এবার গ্রামীন অর্থনীতি ও নারীর ক্ষমতায়নেদক্ষতাবৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ পরিকল্পনায় দেশে মোট ৮১ লাখ ৭০ হাজার কর্মসংস্থানের কথা উল্লেখকরা হয়েছে এবং নারীর অংশগ্রহনের কথা বলা হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, বাংলাদেশের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১–৪১, ২০১৮ সালের সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন, দক্ষতা উন্নয়ন ও গ্রামীন অর্থনীতিতেশক্তিশালী করা জরুরী, না হলে ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় উল্লেখিত অংশগ্রহনমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জন করা কষ্টসাধ্য হবে।এক্ষেত্রে দেশের নানা দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
প্রশিক্ষণ পরবর্তী আর্থিক সাপোর্ট ও গৃহীত প্রশিক্ষণ পদ্ধতি।
প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত করে তাদের আর্থ–সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা, আমাদের জাতীয়কর্মকৌশলের অংশ। রাজশাহী বিভাগে স্থানীয়ভাবে উপজেলা পর্যায়ে নারীদের নানা ট্রেডে (সেলাই, ব্লক বাটিক, বিউটিফিকেশন, গবাদি পশু পালন, ক্রিষ্টাল শোপিছ ইত্যাদি) প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এই প্রশিক্ষণ একদিকে যেমন অপ্রতুল, তেমনি অন্যদিকে আঞ্চলিক সমবায় ইন্সটিটিউট, নওগাঁতে দূর–দুরান্ত থেকে সঠিক প্রশিক্ষণার্থী আসতে অনেক সময়অপারগতা প্রকাশ করে। নানা সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারনে নারীরা দুর–দুরান্ত থেকে নওগাঁতে আইজিএ প্রশিক্ষণের জন্যেআসতে পারে না। একদম তৃণমূল পর্যন্ত নারীদের জন্যে বিভিন্ন আইজিএ প্রশিক্ষণ পৌছে দেওয়ার জন্যে সমবায় বিভাগ, রাজশাহী প্রশিক্ষণ–উদ্যোগ গ্রহণ করে চলেছে।

এলাকাভিত্তিক চাহিদা নিরুপূন করে স্থানীয় সম্পদ ব্যবহার করে নারীদের জন্যেনানা ট্রেডে আইজিএ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এতে যেমন নারীগন সামাজিক বাধা অতিক্রম করে স্থানীয়ভাবে স্বল্প দূরত্বেরমধ্যেই কাঙ্ক্ষিত প্রশিক্ষণ অর্জন করতে পারছে, তেমনি নিজেদেরকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নেগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। কিন্তু কোনো উদ্যোগই চ্যালেঞ্জের উর্ধে নয়। এখানেও দেখা যায় ‘মূলধন (Seed money)’ সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ। এই সংকট দূর করতে বিভাগীয় সমবায় কার্যালয় Capital Formation though Cooperative Financing (CFCF) শীর্ষক নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করে। এর মাধ্যমে মূলত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কোনো নারী সমবায়ী স্ব–স্ব সমবায়সমিতির নিকট ০–৫% সার্ভিস চার্জে (বার্ষিক সরল মূনাফা) প্রয়োজনীয় মূলধন লাভ করতে সক্ষম হবে। এতে একদিকে যেমনসমবায় সমিতি তাদের উপর অর্পিত সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন করছে, তেমনি অন্যদিকে প্রশিক্ষিত নারী সমবায়ীগণ কাঙ্ক্ষিতমূলধন অর্জন করে সমবায়ী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠা করছে। সমবায় বিভাগ, রাজশাহী এক্ষেত্রে মূলত দুইটি কাজকরছে– ক) নারী সমবায়ীদেরকে সময়উপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদান করা এবং খ) মূলধন প্রাপ্তি ও উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতেসহায়কের ভূমিকা পালন।
সমবায় বিভাগ, রাজশাহী ও এর অধীনস্ত প্রতিষ্ঠানের শক্তি–দুর্বলতা–সম্ভাবনা–ঝুঁকি বিশ্লেষণঃ
সময়ায় বিভাগ, রাজশাহীর অর্জন e.g.
সমবায় বিভাগ রাজশাহী ২০২০–২১ নারীদের জন্যে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করে এবং চলমান অর্থবছরে এ কার্যক্রমঅব্যহত রেখেছে। এ কার্যক্রম গ্রহনের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে নারী সমবায়ীদের মধ্যে আত্মসচেতনামূলক অভাবনীয় সাড়া লক্ষ্যকরা যাচ্ছে। নিম্নছকে সমবায় বিভাগের জেলাভিত্তিক এ অর্জন তুলে ধরা হলো।
উপরের তথ্য থেকে দেখা যায়, সমবায় বিভাগ, রাজশাহী কর্তৃক ২০২০–২১ ও ২০২১–২২ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ৫৯ টি আইজিএপ্রশিক্ষণ স্থানীয়ভাবে আয়োজন করেছে, যার মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ১৪৭৫ জন নারী সমবায়ী নানা ট্রেডে আয়বর্ধনমূলক প্রশিক্ষণগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে প্রায় ৩০% সমবায়ী স্ব স্ব সমবায় সমিতির তহবিল হতে মূলধন স্বল্প সুদে গ্রহণ করে আর্থিক কর্মকান্ডশুরু করেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ শেষে নারী সমবায়ীগণ স্ব স্ব সমিতি হতে বিনা মুনাফায় মূলধন সহায়তা কিংবাউপকরণ সহায়তা পেয়েছে।
উল্লেখ্য যে, এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম কোনো প্রকল্পের অধীনে নয়। সমবায় বিভাগ সরকারের রাজস্ব প্রশিক্ষণ ও ভ্রাম্যমান প্রশিক্ষণখাতে যে যতসামান্য অর্থ পায়, তা থেকেই এই প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হয়। এত কম অর্থ ব্যয়ে এই ধরনের যুগোপযোগিপ্রশিক্ষণ আয়োজন করা সত্যিই অনেক চ্যালেঞ্জের। স্থানীয় পর্যায়ে নারীদের জন্যে আইজিএ প্রশিক্ষণ আয়োজনে আরো যেসকল চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছি, তা নিম্নরুপে তুলে ধরা হল–
• পর্যাপ্ত বরাদ্দের অপ্রতুলতা
• উপযুক্ত ও আগ্রহী প্রশিক্ষনার্থীর অপ্রতুলতা
• উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণের সুযোগ সৃষ্টি করণ
• সমবায়ীদের প্রতি দৈনিক ভাতা–যথেষ্ঠ নয়। কমপক্ষে ৩৫০/-টাকা করা উচিত।
• প্রশিক্ষক ও সহঃ প্রশিক্ষক এর ভাতা প্রতি দিন২০০/- ও ১৬০/-যাহা বৃদ্ধি করা উচিত।
• প্রশিক্ষণ পরবর্তী নিবিড় পরিচর্যা ও বাজারজাতকরণে সহায়তা,উপকরণ ও মূলধন সরবরাহ
• প্রশিক্ষণ পরবর্তী সদস্যদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি
• পারিবারিক প্রতিবন্ধকতা
• প্রশিক্ষণ উপকরণের সমস্যা
• নারী সমবায়ীর অভাব
যেসকল নারীসমবায়ীগন সমবায় বিভাগ, রাজশাহীর উদ্যোগে প্রদত্ত বিভিন্ন আইজিএ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ইতিবাচক ভূমিকারাখছেন, তাদের মধ্যে ২৫ জনের অংশগ্রহনে একটি কর্মশালাআয়োজন করা হয়। এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতছিলেন রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মহোদয়। এই কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য ছিলো মূলত তিনটি–
• স্থানীয়ভাবে আইজিএ প্রশিক্ষণপ্রাপ্তিতে নারী প্রশিক্ষণার্থী–উদ্যোক্তাদের মধ্যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ইতিবাচক প্রভাবনিরুপূন করা
• নারী সমবায়ীদেরকে উদ্যোক্তা সৃজনের নিমিত্তে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকি নির্ধারন করা
• প্রশিক্ষণার্থী নারী উদ্যোক্তাদের প্রত্যাশা নিরুপূন করা
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদেরকে চারটি দলে ভাগ করে দলীয় কাজ সম্পন্ন করা হবে। প্রতিটি দলই মূলত তিনটি উদ্দেশ্যেসুপারিশমালা প্রদান করে। সুপারিশসমূহ সমন্বিত করে সমবায় বিভাগ, রাজশাহী এর পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা সাজানো হবে।কর্মশালা থেকে প্রতিটি দলের সুপারিশ/মতামত সমন্বিত করে উপস্থাপন করা হলো–
আইজিএ প্রশিক্ষণপ্রাপ্তিতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব। e.g.
– পরনির্ভরশীলতা পেরিয়ে আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীলতা সৃষ্টি। মাসিক উপার্জন বেড়েছে (৩–১০ হাজারটাকা পর্যন্ত)।
– নারী উদ্যোক্তা পরিচয়ের মাধ্যমে সমাজে একটি অবস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে।
– সম্পদ অর্জন বেড়েছে।
– রাজশাহী বিভাগে সমবায় সমিতি থেকে ৫–১৫ হাজার সুদমুক্ত সহজ ঋণের একটি সিস্টেম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
– পরিবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
– ছেলে–মেয়ের লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার মত সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
– পারিবারিক স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়ন ঘটেছে।
– অন্যান্য মহিলাদের অনুপ্রানিত করার মাধ্যমে নেতৃত্ব সৃষ্টির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
– নারীর ক্ষমতায়্ন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
– অন্যান্য অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগঃ যেমন–কৃষিকাজ,গবাদি পশু পালন
– নিজেদের/সামাজিক/মৌলিক/ নারী অধিকার সর্ম্পকে সচেতন হয়েছে।
– পরিবার ও সমাজে নিজেদের অবস্থান তৈরী হয়েছে।
– সামাজিক প্রতিবন্ধকতা দূর হয়েছে।
ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জসমূহ e.g.
– পারিবারিক বাধা
– সামাজিক প্রতিবন্ধকতা
– পর্যাপ্ত কাঁচামাল, উপকরণ ও অর্থের অভাব
– বাজারজাতকরণে প্রতিবন্ধকতা
– পণ্যের ন্যায্যমূল্য না পাওয়া
– নারী সমবায়ীর অভাব
প্রশিক্ষণার্থী নারী উদ্যোক্তাদের প্রত্যাশা
– আধুনিক উপকরণ এবং মানসম্মত কাচামাল সরবরাহ সহয়তা প্রদান।
– আর্থিক সহায়তা (ব্যাংক/সমবায় লোন, স্বল্প সুদে ঋণ) বৃদ্ধি করা।
– উপজেলা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ সংখ্যা বৃদ্ধি করা।
– বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে সহয়তা প্রদান করা। এক্ষেত্রে জেলায় জেলায় ডিসপ্লে সেন্টার গড়ে তোলা যায়।
– প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণার্থীর ভাতা বৃদ্ধি করা ।
– প্রশিক্ষণ পরবর্তী পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন।
– স্থানীয় পর্যায়ের প্রশিক্ষণের মেয়াদ বৃদ্ধি করা।
– উৎপাদিত পন্য বাজারজাতকরণে সহায়তা প্রদান
– উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি ও বিপনন সমবায় সমিতির মাঝে সম্পর্ক স্থাপন
– সরকারিভাবে অন্যান্য দপ্তরে প্রদত্ত সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তিতে সহায়তা প্রদান
– উৎপাদিত পণ্য দেশব্যাপী বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে আন্তঃসমবায় সম্পর্ক জোরদারকরণ।
– প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের প্রকল্পের আওতায় নিয়ে এসে পর্যাপ্ত মূলধন ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামাদি সরবরাহের প্রয়োজন
– সমবায়েরমাধ্যমেউৎপাদনশীলসমবায়সমিতিসমূহেস্বল্পমূল্যেকাঁচামালসরবরাহ।
– উপজেলাভিত্তিক মহিলা সমবায় সমিতিগুলোকে চাহিদা ভিত্তিক বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা
স্থানীয় প্রশিক্ষণ ও আসই, নওগাঁ লিংকেজ
স্থানীয় আইজিএ প্রশিক্ষণ ৩–৫ দিনের হয়ে থাকে। এখানে প্রশিক্ষনার্থীগণ মূলত একধরনের ওরিয়েন্টেশন পায়। স্থানীয়আইজিএ প্রশিক্ষণে যেসকল প্রশিক্ষনার্থী কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখে এবং আরো শেখার আগ্রহ রাখে, তাদেরকে একই ট্রেডে উন্নতমানের আবাসিক প্রশিক্ষণ প্রদান করার উদ্দেশ্যে রাজশাহী বিভাগের ৭ টি জেলা থেকে প্রশিক্ষনার্থীদেরকে আঞ্চলিক সমবায়প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট, নওগাঁতে প্রেরণ করা হয়। জরিপ করে দেখা গেছে যে, আঞ্চলিক সমবায় প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট, নওগাঁতেআগত এরুপ প্রশিক্ষনার্থীগণ প্রশিক্ষণে অধিক মনোযোগী থাকে, আগ্রহী থাকে। ফলে প্রশিক্ষণসমূহ অধিক ফলপ্রসূ হয়।বিভাগীয় সমবায় কার্যালয় ও আঞ্চলিক সমবায় প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট, নওগাঁর সম্মিলিত উদ্যোগের মাধ্যমে ভালোমানের আগ্রহীপ্রশিক্ষনার্থীগন আসই, নওগাঁতে আসছেন এবং মাঠ পর্যায়ে উদ্যোক্তা উন্নয়নে আসই, নওগাঁ কর্তৃক প্রশিক্ষণসমূহ ইতিবাচকফলাফল রাখছে।
শেষ কথা
নারীর ক্ষমতায়ন একটি জাতীয় অঙ্গীকার। নারীর ক্ষমতায়নের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হলো তাদেরকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বীহিসেবে গড়ে তোলা। এক্ষেত্রে সমবায় উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তাদেরকে প্রশিক্ষিত করে সফল উদ্যোক্তাহিসেবে গড়ে তুলতে পারলে নারীদের প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন হবে। সেই অঙ্গীকার নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেসমবায় বিভাগ, রাজশাহী। কর্মশালার সুপারিশসমূহ সমবায় বিভাগ, রাজশাহীর পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা সাজাতে সহায়ক হবে।

লেখক –
মোঃ সেলিমুল আলম শাহিন,
অধ্যক্ষ–উপনিবন্ধক, আঞ্চলিক সমবায় ইন্সটিটিউট, নওগাঁ।
(নারী সমবায়ীর জন্যে আয়বর্ধনমূলক প্রশিক্ষণঃ প্রত্যাশা অর্জন ও চ্যালেঞ্জ [কেস স্টাডি– সমবায় বিভাগ, রাজশাহী] in short

অধ্যক্ষ-উপনিবন্ধক, আঞ্চলিক সমবায় ইন্সটিটিউট, নওগাঁ।
Outbound links and
৩১তম বিসিএস ক্যাডার এসোসিয়েশন।
৩১তম বিসিএস ক্যাডার এসোসিয়েশন।

৩১তম বিসিএস ক্যাডার এসোসিয়েশন।